আজকের দুবাই ১০০ দিরহাম বাংলাদেশের কত টাকা বা দুবাই টাকার রেট কত তা আমরা এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দিবো। আজ ৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। এখন সময় বিকাল ৩:১৫ মিনিট।
দুবাই ১০০ দিরহাম বাংলাদেশের কত টাকা
দুবাই মুদ্রার নাম দুবাই দিরহাম। দেখে নিন দুবাই ১০০ টাকা দিলে আপনি বাংলাদেশি কত টাকা পাবেন।
অর্থাৎ এই মুহূর্তে বাংলাদেশি টাকার রেট হিসাবে দুবাই ১০০ টাকা বাংলাদেশের ২৯৩৯ টাকা ৯৮ পয়সা।
আজকের দুবাই ১০০ দিরহাম বাংলাদেশের কত টাকা
আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে চার্টের মাধ্যমে দেখানো হলো বিভিন্ন পরিমান দুবাই টাকা দিলে আপনি বাংলাদেশি কত টাকা পাবেন।
দুবাই টাকার রেট কত
- ২০১৮ সালে দুবাই ১০০ টাকা বাংলাদেশের ২২৬৩ টাকা ছিলো।
- ২০১৯ সালে দুবাই ১০০ টাকা বাংলাদেশের ২২৬৩ টাকা ছিলো।
- ২০২০ সালে দুবাই ১০০ টাকা বাংলাদেশের ২২৭৩ টাকা ছিলো।
- ২০২১ সালে দুবাই ১০০ টাকা বাংলাদেশের ২৩৫৩ টাকা ছিলো।
- ২০২২ সালে দুবাই ১০০ টাকা বাংলাদেশের ২৮৮২ টাকা ছিলো।
- ২০২৩ সালে দুবাই ১০০ টাকা বাংলাদেশের ২৯৪০ টাকা।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুদ্রার রেট
দুবাই দিরহাম ছাড়াও দুবাই এর পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশের মুদ্রার ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা জানতে চান? নিচে দুবাই এর পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মুদ্রার সাথে বাংলাদেশি মুদ্রার বিনিময় হার দেখানো হলো।
দুবাই ১০০ দিরহাম বাংলাদেশের কত টাকা
দুবাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আজকের দুবাই 1000 দিরহাম দিলে আপনি কত বাংলাদেশি টাকা পাবেন তা উপরের চার্টে দেখানো হয়ছে।
দুবাই 100 টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
গুগোল ফাইনান্সের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আজ দুবাই 100 দিরহাম দিলে আপনি বাংলাদেশি টাকায় কত টাকা পাবেন তা উপরের চার্টে দেখানো হয়ছে।
দুবাই টাকার মান কত তা জানা জরুরী কেন?
- ভ্রমনের জন্য দুবাই গেলে বাংলাদেশি টাকা এক্সচেঞ্জ করে দুবাই দিরহাম নেয়ার প্রয়োজন পড়ে পর্যটকদের। এক্ষেত্রে জেনে নিতে হবে দুবাই দিরহাম রেট।
- উচ্চ শিক্ষার জন্য কিছু শিক্ষার্থী দুবাই বসবাস করেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রয়োজনে তাদের দিরহাম এর এক্সচেঞ্জ রেট জানার প্রয়োজন পড়ে।
- দুবাই বসবাসকারী প্রবাসীদের দেশে টাকা পাঠানোর প্রয়োজনে দিরহাম রেট জানতে হয়।
- দুবাই দেশটির সাথে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্যে দিরহাম রেট জেনে রাখা অত্যাবশ্যক।
- ব্যাবসায়িক প্রয়োজনে যারা দুবাই যান তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিরহাম রেট।
- বিসিএস সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চাকরির পরীক্ষার পরীক্ষার্থীদের জন্য দুবাই এবং দেশটির মুদ্রাব্যাবস্থা সম্পর্কে ধারনা রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
নোট- এই আর্টিকেলে দুবাই দিরহাম এর যে এক্সচেঞ্জ রেট দেখতে পারছেন সেটা ৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে আপডেট করা হয়েছে।
দুবাই টাকার এক্সচেঞ্জ রেট না জানলে যেসব সমস্যায় পড়তে পারেন
- আপনি পর্যটক হলে মানি এক্সচেঞ্জ থেকে দুবাই দিরহাম এর রেট কম পাবেন।
- আপনি শিক্ষার্থী হলে দেশ থেকে নিয়ে যাওয়া টাকা ভাঙ্গাতে গেলে দিরহাম রেট কম পাবেন।
- আপনি প্রবাসী বাংলাদেশি হলে দেশে দিরহাম পাঠানোর সময় ভালো রেট পাবেন না।
- আপনি এক্সপোর্টার বা ইম্পোর্টার হয়ে দুবাই দিরহাম এর রেট না জানলে ক্রয় বা বিক্রয়মুল্যে তার প্রভাব পড়বে।
- ব্যাবসায়িক প্রয়োজনে দুবাই গেলে টাকা ভাঙ্গানোর সময় কম রেট পাবেন।
- আপনি পরীক্ষার্থী হলে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় দুবাই দিরহাম সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিতে ভুল করতে পারেন।
দুবাই থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সবচেয়ে সহজ উপায়
- দুবাই থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর বৈধ উপায় হচ্ছে ব্যাঙ্কিং চ্যানেল ব্যাবহার করা।
- দুবাই থেকে হুন্ডির মাধ্যমেও টাকা পাঠাতে পারবেন যদিও হুন্ডি লেনদেন অবৈধ।
- বিকাশ নগদ সহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলেও দুবাই দিরহাম পাঠাতে পারবেন।
- বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি দুবাই দিরহাম থেকে বাংলা টাকায় কনভার্ট করে মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন।
- ডুয়েল কারেন্সি মাস্টারকার্ড ব্যাবহার করলে দুবাই থেকে কার্ডে দিরহাম লোড করবেন, আর বাংলাদেশ থেকে আপনার প্রিয়জন সেই কার্ড ব্যাবহার করে এটিএম থেকে সরাসরি বাংলা টাকা তুলে নিতে পারবে।
- আপনার কোন বন্ধু বা স্বজন দুবাই থেকে বাংলাদেশে আসলে তাদের মাধ্যমেও টাকা পাঠাতে পারবেন।
- ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যাবহার করেও দুবাই থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানো সম্ভব।
দুবাই থেকে কিভাবে বাংলাদেশে টাকা পাঠালে কেমন রেট পাবেন
- ব্যাঙ্কিং চ্যানেলে দুবাই দিরহাম পাঠালে রেট খোলাবাজারের চেয়ে সামান্য কম পেলেও সরকার ঘোষিত ২% ইনসেন্টিভ পাবেন। অর্থাৎ আপনি 1000 দিরহাম পাঠালে সরকার নির্ধারিত দিরহাম এক্সচেঞ্জ রেটের চেয়ে ২% টাকা বেশি পাবেন। ব্যাঙ্কিং চ্যানেলে দুবাই দিরহাম পাঠানো সবচেয়ে নিরাপদ এবং আপনার জন্মভূমি আপনার পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা থেকে সরাসরি লাভবান হয়।
- ডুয়েল কারেন্সি মাস্টারকার্ড ব্যাবহার করে দুবাই দিরহাম পাঠালে আপনি সরকার নির্ধারিত এক্সচেঞ্জ রেট পাবেন এবং আপনার প্রিয়জন যখন ইচ্ছা বাংলাদেশ থেকে টাকা তুলতে পারবে।
- হুন্ডির মাধ্যমে দুবাই দিরহাম পাঠালে সাধারণত রেট সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। যদিও হুন্ডি লেনদেন অবৈধ এবং হুন্ডির মাধ্যমে দিরহাম পাঠালে সরকার বৈদেশিক মুদ্রা প্রাপ্তি থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত হয়।
- ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যাবহার করে দুবাই দিরহাম পাঠালে খোলাবাজারে যে রেট চলছে সেই রেটই পাবেন যদিও ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন বাংলাদেশে অবৈধ।
- বিকাশ নগদ সহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলে দুবাই দিরহাম পাঠালে এক্সচেঞ্জ রেট তুলনামূলক অনেক কম পাবেন এবং সাথে বিকাশ নগদের ক্যাশ আউট চার্জ যুক্ত হবে, টাকা অনেক কম পাবেন।
- বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দুবাই দিরহাম থেকে বাংলাদেশি টাকায় এক্সচেঞ্জ করে মোবাইল রিচার্জ করলেও রেট অনেক কম পাবেন।
দুবাই দিরহাম বৈধভাবে দেশে পাঠালে কি লাভ
- আপনি যখন United Arab Emirates Dirham বা দুবাই দিরহাম বৈধ চ্যানেলে দেশে পাঠাবেন তখন সরকার ওই দিরহাম বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যুক্ত করবে।
- একই সাথে সরকার ওই দুবাই দিরহাম এর সমপরিমাণ বাংলাদেশি টাকা প্রিন্ট করবে এবং আপনাকে সেই টাকা বুঝিয়ে দেবে।
- সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হবে আপনার দেশে পাঠানো দুবাই দিরহাম এর কারনে।
- সরকার এই দুবাই দিরহাম বা বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাবহার করবে বৈদেশিক বানিজ্যে যা আমদানি ব্যয় কমাবে।
- আমদানি ব্যয় কম হলে দেশে বসবাসকারী আপনার পরিবার এবং প্রিয়জন তুলনামূলক কম মুল্যে অনেক পন্য কিনতে পারবে পরোক্ষভাবে আপনার পাঠানো দুবাই দিরহাম এর মাধ্যমেই।
দুবাই ১০০ দিরহাম বাংলাদেশের কত টাকা প্রসঙ্গে শেষকথা
আজ আমরা এই আর্টিকেলে জানলাম দুবাই ১০০ দিরহাম বাংলাদেশের কত টাকা বা আজ দুবাই এক টাকা দিলে আপনি বাংলাদেশি কত টাকা পাবেন। আশা করি দুবাই দিরহাম সম্পর্কিত আপনার সব প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারেছি। তারপরও দুবাই দিরহাম সম্পর্কে আপনার আরও কোন জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদেরকে জানাবেন। ধন্যবাদ।
আর্টিকেলের ভিতরে যা থাকছে