মিয়ানমারের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

আজকের মিয়ানমারের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা বা মিয়ানমারের টাকার রেট কত তা আমরা এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দিবো। আজ ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। এখন সময় রাত ১০:০৭ মিনিট।

মিয়ানমারের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

মিয়ানমারের মুদ্রার নাম মায়ানমা কিয়াত। দেখে নিন মিয়ানমারের ১ টাকা দিলে আপনি বাংলাদেশি কত টাকা পাবেন।

অর্থাৎ এই মুহূর্তে বাংলাদেশি টাকার রেট হিসাবে মিয়ানমারের ১ টাকা বাংলাদেশের ০ টাকা ০৫ পয়সা।

আজকের মিয়ানমারের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে চার্টের মাধ্যমে দেখানো হলো বিভিন্ন পরিমান মিয়ানমারের টাকা দিলে আপনি বাংলাদেশি কত টাকা পাবেন।

মিয়ানমারের টাকার রেট কত

• ২০১৮ সালে মিয়ানমারের ১ টাকা বাংলাদেশের ০ টাকা ০৫ পয়সা ছিলো।
• ২০১৯ সালে মিয়ানমারের ১ টাকা বাংলাদেশের ০ টাকা ০৫ পয়সা ছিলো।
• ২০২০ সালে মিয়ানমারের ১ টাকা বাংলাদেশের ০ টাকা ০৬ পয়সা ছিলো।
• ২০২১ সালে মিয়ানমারের ১ টাকা বাংলাদেশের ০ টাকা ০৪ পয়সা ছিলো।
• ২০২২ সালে মিয়ানমারের ১ টাকা বাংলাদেশের ০ টাকা ০৪ পয়সা ছিলো।
• ২০২৩ সালে মিয়ানমারের ১ টাকা বাংলাদেশের ০ টাকা ০৫ পয়সা।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুদ্রার রেট

মায়ানমা কিয়াত ছাড়াও মিয়ানমারের এর পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশের মুদ্রার ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা জানতে চান? নিচে মিয়ানমারের এর পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মুদ্রার সাথে বাংলাদেশি মুদ্রার বিনিময় হার দেখানো হলো।

১ কিয়াত সমান কত টাকা

মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আজকের মিয়ানমারের ১ কিয়াত দিলে আপনি কত বাংলাদেশি টাকা পাবেন তা উপরের চার্টে দেখানো হয়ছে।

মিয়ানমারের ১০০ কিয়াত বাংলাদেশের কত টাকা

গুগোল ফাইনান্সের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আজ মিয়ানমারের ১০০ কিয়াত দিলে আপনি বাংলাদেশি টাকায় কত টাকা পাবেন তা উপরের চার্টে দেখানো হয়ছে।

মিয়ানমারের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা তা জানা জরুরী কেন?

1. ভ্রমনের জন্য মিয়ানমারের গেলে বাংলাদেশি টাকা এক্সচেঞ্জ করে মায়ানমা কিয়াত নেয়ার প্রয়োজন পড়ে পর্যটকদের। এক্ষেত্রে জেনে নিতে হবে মায়ানমা কিয়াত রেট। 
2. উচ্চ শিক্ষার জন্য কিছু শিক্ষার্থী মিয়ানমারের বসবাস করেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রয়োজনে তাদের কিয়াত এর এক্সচেঞ্জ রেট জানার প্রয়োজন পড়ে। 
3. মিয়ানমারের বসবাসকারী প্রবাসীদের দেশে টাকা পাঠানোর প্রয়োজনে কিয়াত রেট জানতে হয়। 
4. মিয়ানমারের দেশটির সাথে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্যে কিয়াত রেট জেনে রাখা অত্যাবশ্যক। 
5. ব্যাবসায়িক প্রয়োজনে যারা মিয়ানমারের যান তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিয়াত রেট। 
6. বিসিএস সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চাকরির পরীক্ষার পরীক্ষার্থীদের জন্য মিয়ানমারের এবং দেশটির মুদ্রাব্যাবস্থা সম্পর্কে ধারনা রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

নোট- এই আর্টিকেলে মায়ানমা কিয়াত এর যে এক্সচেঞ্জ রেট দেখতে পারছেন সেটা ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে আপডেট করা হয়েছে।

মিয়ানমারের টাকার এক্সচেঞ্জ রেট না জানলে যেসব সমস্যায় পড়তে পারেন

• আপনি পর্যটক হলে মানি এক্সচেঞ্জ থেকে মায়ানমা কিয়াত এর রেট কম পাবেন।
• আপনি শিক্ষার্থী হলে দেশ থেকে নিয়ে যাওয়া টাকা ভাঙ্গাতে গেলে কিয়াত রেট কম পাবেন। 
• আপনি প্রবাসী বাংলাদেশি হলে দেশে কিয়াত পাঠানোর সময় ভালো রেট পাবেন না। 
• আপনি এক্সপোর্টার বা ইম্পোর্টার হয়ে মায়ানমা কিয়াত এর রেট না জানলে ক্রয় বা বিক্রয়মুল্যে তার প্রভাব পড়বে। 
• ব্যাবসায়িক প্রয়োজনে মিয়ানমারের গেলে টাকা ভাঙ্গানোর সময় কম রেট পাবেন। 
• আপনি পরীক্ষার্থী হলে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় মায়ানমা কিয়াত সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিতে ভুল করতে পারেন। 

মিয়ানমারের থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সবচেয়ে সহজ উপায়

1. মিয়ানমারের থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর বৈধ উপায় হচ্ছে ব্যাঙ্কিং চ্যানেল ব্যাবহার করা। 
2. মিয়ানমারের থেকে হুন্ডির মাধ্যমেও টাকা পাঠাতে পারবেন যদিও হুন্ডি লেনদেন অবৈধ।
3. বিকাশ নগদ সহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলেও মায়ানমা কিয়াত পাঠাতে পারবেন। 
4. বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি মায়ানমা কিয়াত থেকে বাংলা টাকায় কনভার্ট করে মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন। 
5. ডুয়েল কারেন্সি মাস্টারকার্ড ব্যাবহার করলে মিয়ানমারের থেকে কার্ডে কিয়াত লোড করবেন, আর বাংলাদেশ থেকে আপনার প্রিয়জন সেই কার্ড ব্যাবহার করে এটিএম থেকে সরাসরি বাংলা টাকা তুলে নিতে পারবে। 
6. আপনার কোন বন্ধু বা স্বজন মিয়ানমারের থেকে বাংলাদেশে আসলে তাদের মাধ্যমেও টাকা পাঠাতে পারবেন। 
7. ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যাবহার করেও মিয়ানমারের থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানো সম্ভব। 

মিয়ানমারের থেকে কিভাবে বাংলাদেশে টাকা পাঠালে কেমন রেট পাবেন 

• ব্যাঙ্কিং চ্যানেলে মায়ানমা কিয়াত পাঠালে রেট খোলাবাজারের চেয়ে সামান্য কম পেলেও সরকার ঘোষিত ২% ইনসেন্টিভ পাবেন। অর্থাৎ আপনি ১ কিয়াত পাঠালে সরকার নির্ধারিত কিয়াত এক্সচেঞ্জ রেটের চেয়ে ২% টাকা বেশি পাবেন। ব্যাঙ্কিং চ্যানেলে মায়ানমা কিয়াত পাঠানো সবচেয়ে নিরাপদ এবং আপনার জন্মভূমি আপনার পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা থেকে সরাসরি লাভবান হয়। 
• ডুয়েল কারেন্সি মাস্টারকার্ড ব্যাবহার করে মায়ানমা কিয়াত পাঠালে আপনি সরকার নির্ধারিত এক্সচেঞ্জ রেট পাবেন এবং আপনার প্রিয়জন যখন ইচ্ছা বাংলাদেশ থেকে টাকা তুলতে পারবে। 
• হুন্ডির মাধ্যমে মায়ানমা কিয়াত পাঠালে সাধারণত রেট সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। যদিও হুন্ডি লেনদেন অবৈধ এবং হুন্ডির মাধ্যমে কিয়াত পাঠালে সরকার বৈদেশিক মুদ্রা প্রাপ্তি থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত হয়। 
• ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যাবহার করে মায়ানমা কিয়াত পাঠালে খোলাবাজারে যে রেট চলছে সেই রেটই পাবেন যদিও ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন বাংলাদেশে অবৈধ। 
• বিকাশ নগদ সহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলে মায়ানমা কিয়াত পাঠালে এক্সচেঞ্জ রেট তুলনামূলক অনেক কম পাবেন এবং সাথে বিকাশ নগদের ক্যাশ আউট চার্জ যুক্ত হবে, টাকা অনেক কম পাবেন।
• বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মায়ানমা কিয়াত থেকে বাংলাদেশি টাকায় এক্সচেঞ্জ করে মোবাইল রিচার্জ করলেও রেট অনেক কম পাবেন। 

মায়ানমা কিয়াত বৈধভাবে দেশে পাঠালে কি লাভ 

1. আপনি যখন Myanmar Kyat বা মায়ানমা কিয়াত বৈধ চ্যানেলে দেশে পাঠাবেন তখন সরকার ওই কিয়াত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যুক্ত করবে। 
2. একই সাথে সরকার ওই মায়ানমা কিয়াত এর সমপরিমাণ বাংলাদেশি টাকা প্রিন্ট করবে এবং আপনাকে সেই টাকা বুঝিয়ে দেবে। 
3. সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হবে আপনার দেশে পাঠানো মায়ানমা কিয়াত এর কারনে। 
4. সরকার এই মায়ানমা কিয়াত বা বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাবহার করবে বৈদেশিক বানিজ্যে যা আমদানি ব্যয় কমাবে। 
5. আমদানি ব্যয় কম হলে দেশে বসবাসকারী আপনার পরিবার এবং প্রিয়জন তুলনামূলক কম মুল্যে অনেক পন্য কিনতে পারবে পরোক্ষভাবে আপনার পাঠানো মায়ানমা কিয়াত এর মাধ্যমেই। 

মিয়ানমারের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা প্রসঙ্গে শেষকথা

আজ আমরা এই আর্টিকেলে জানলাম মিয়ানমারের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা বা আজ মিয়ানমারের এক টাকা দিলে আপনি বাংলাদেশি কত টাকা পাবেন। আশা করি মায়ানমা কিয়াত সম্পর্কিত আপনার সব প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারেছি। তারপরও মায়ানমা কিয়াত সম্পর্কে আপনার আরও কোন জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদেরকে জানাবেন। ধন্যবাদ।