ads

পুলিশের কঠোর অবস্থান, সড়কে জমায়েতের চেষ্টা ব্যর্থ

Rate this post
ads11

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতির দশম দিন গতকাল সোমবার রাজধানীসহ দেশের কিছু এলাকায় আবারও সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে আন্দোলনকারীরা। এতে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করে ভাঙচুরের চেষ্টা চালালে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। এ সময় বেশ কয়েকজন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীকে আটক করা হয়।

পুলিশের ভাষ্য, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে কিছু শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন দলের ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মী রয়েছেন।

পুলিশের কঠোর অবস্থানে সড়কে আবারও জমায়েতের চেষ্টা ব্যর্থপরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ছাড়াও গতকাল রাজধানীসহ সারা দেশে র‌্যাব ও বিজিবির সদস্যরা টহল দিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ছিল সেনাবাহিনীর টহল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজধানীর বাড্ডা, পল্টন, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, রামপুরা, প্রেস ক্লাব ও যাত্রাবাড়ীতে বাড়ানো হয় পুলিশের পাহারা।

সড়কেও বাড়তি পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। সঙ্গে সড়কে যানবাহনের চাপও ছিল বেশ

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডিবি কার্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের রবিবার রাতে আন্দোলন প্রত্যাহার ঘোষণার পর সেটি প্রত্যাখ্যান করেন অন্য এক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের। তাঁর নেতৃত্বে আরো কয়েকজন সমন্বয়ক আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানান।

এদিকে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ। আজ মঙ্গলবার একক বা ঐক্যবদ্ধভাবে লাল কাপড় মুখে ও চোখে বেঁধে ছবি তোলা এবং অনলাইনে তা প্রচারের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও দেশের জনসাধারণের কাছে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে আজকের কর্মসূচি সফলে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গতকাল রাজধানীর আটটি স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছিল। এই আট স্থান হলো সায়েন্স ল্যাব, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর গেট, প্রেস ক্লাব, উত্তরার বিএনএস সেন্টার, মিরপুর-১০, মিরপুরের ইসিবি চত্বর, রামপুরা ও মহাখালী।

এসব এলাকার পাশাপাশি গতকাল চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেট বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করা হয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গতকাল কোটা আন্দোলনকারীরা কোনো সভা-সমাবেশ কিংবা সড়ক অবরোধ করেনি।

পুলিশ দাবি করেছে, এসব সমাবেশে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন জামায়াত-শিবিরসহ সরকারবিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ছাত্রনেতারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী যেসব এলাকায় সমাবেশ করার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু পুলিশের কঠোর অবস্থানের ফলে তা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গতকালও সড়কের মোড়ে মোড়ে ছিল পুলিশের চেকপোস্ট। সন্ধ্যা ৬টার পর রাজধানীতে ফের কারফিউ শুরু হলে সেনাবাহিনী সড়কের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

রাজধানীর মোড়ে মোড়ে পুলিশ, সারা দেশে বিজিবির টহল জোরদার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক পক্ষের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণার পর গতকাল রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গতকাল সকাল থেকে মাঠে অবস্থান নেয় পুলিশ। সকাল থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে পুলিশসহ অন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন ছিল। বিক্ষোভ প্রদর্শনের চেষ্টা করলে রাজধানীর মিরপুর-১০, ইসিবি চত্বর ও ধানমণ্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।

মিরপুর থানার ওসি মুন্সি সাব্বির কালের কণ্ঠকে বলেন, বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়।

ইসিবি চত্বরে দায়িত্বরত পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, কয়েকজন বিক্ষোভকারী গলি থেকে ইটপাটকেল ছুড়ছিল। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

ডিএমপির ধানমণ্ডি বিভাগের নিউ মার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার মো. রেফাতুল ইসলাম বলেন, সড়ক অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে ধানমণ্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়।

উত্তরা এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে মূল সড়কে কাউকে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নামতে দেখা যায়নি।

বাড্ডা জোনের সরকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাজম কুমার সাহা বলেন, এখানে কোনো নিরাপত্তার শঙ্কা নেই। বাড্ডা এলাকায় স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করছে।

গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম বলেন, সড়কে পুলিশের পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে। আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। সড়কে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, বিশৃঙ্খলাসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজধানীতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তায় মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

সার্বিক পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক

গতকাল দেশে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া কোথাও সহিংসতার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সার্বিক পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে ছিল তীব্র যানজট। দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

কারফিউ শিথিল

গতকাল রাজধানীসহ চার জেলায় কারফিউ সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা শিথিল ছিল।

অফিসে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড

এদিকে ক্রমে বাড়তে শুরু করেছে অফিসের কর্মঘণ্টা। আজ মঙ্গলবারও সকাল ৯টা বিকেল ৩টা পর্যন্ত অফিস খোলা থাকবে।

গতকাল দেশজুড়ে ঘটনাপ্রবাহ

ফরিদপুরে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহার : ফরিদপুরে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরের দিকে ফরিদপুর প্রেস ক্লাব হলরুমে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাধিক সমন্বয়কারী সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। আন্দোলন প্রত্যাহারের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অন্যতম সমন্বয়কারী ও ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আরমান শিকদার।

যশোরে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা : কোটা সংস্কার আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে যশোরের সমন্বিত ছাত্র ঐক্য পরিষদ। গতকাল দুপুরে সমন্বিত ছাত্র ঐক্য পরিষদ, যশোর জেলা শাখার নেতারা প্রেস ব্রিফিংয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা।

যশোর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন সমন্বিত ছাত্র ঐক্য পরিষদ যশোরের সমন্বয়ক সরকারি এমএম কলেজের শিক্ষার্থী পরশ আহমেদ ও ইয়াসিন আরাফাত। উপস্থিত ছিলেন সমন্বিত ছাত্র ঐক্য পরিষদ যশোরের সমন্বয়ক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজ আলী, মোস্তাফিজুর রহমান ও ইবরার আলী এবং ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ফাহিম হাসান।

লিখিত বক্তব্যে পরশ আহমেদ ও ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকেই অপ্রত্যাশিতভাবে হতাহত হয়েছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানা সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’

কর্মসূচি প্রত্যাহার ইবি শিক্ষার্থীদের : কোটা সংস্কার আন্দোলন কর্মসূচি ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে বৈঠক থেকে শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবি জানিয়ে সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালর প্রশাসন ভবনের উপাচার্যের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৯ জন শিক্ষার্থীর একটি দল অংশ নেয়।

কুষ্টিয়ায় কর্মসূচি স্থগিত : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গতকাল বিকেল ৩টায় কুষ্টিয়া শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। পরে পুলিশি বাধায় শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি স্থগিত করে।

চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ১০ : কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গতকাল চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। নগরীর কোতোয়ালি থানার চেরাগী পাহাড় মোড় ও আশপাশের এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

রাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীরা। তাদের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও ছিল। গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক কর্মসূচিতে অংশ নেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটের সামনে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করে।

জাবিতে বিক্ষোভ : বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়ক থেকে একটি মিছিল বের করেন তাঁরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক ঘুরে ফের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

নোয়াখালীতে বিক্ষোভ : নোয়াখালীতে দুই ঘণ্টা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীরা। গতকাল বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নোয়াখালী জিলা স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে চৌমুহনী-মাইজদী আঞ্চলিক মহাসড়কে বিক্ষোভ করে তারা।

লক্ষ্মীপুরে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ, আটক ১ : লক্ষ্মীপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীরা। বিকেল ৪টা থেকে জেলা শহরের মাদাম ব্রিজ এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী আন্দোলনে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় নাফিস আহমেদ ইকরাম নামের এক কলেজছাত্রকে আটক করা হয়।

ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ : ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক আবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীরা। এর আগে ঠাকুরগাঁওয়ের চৌরাস্তা সমবায় মার্কেটের সামনে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়।

ads3
ads12
Scroll to Top